মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নিরাপত্তার অজুহাতে গত কয়েক দিন রাজধানীসহ সারা দেশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও আজ সকাল থেকে সীমিত আকারে বাস চলাচল শুরু করেছে। আজ সোমবার নগরীর মিরপুর, আগারগাঁও, মহাখালী, বনানী, কুর্মিটোলা, বিশ্বরোড ও প্রগতিসরণিতে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবে এসব পয়েন্টে কোনও শিক্ষার্থী দেখা যায়নি। সীমিত সংখ্যক বাস চলাচলের কারণে এসব পয়েন্টে ব্যাপক যাত্রী উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বাস এলেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে লোকজন। কেউ কেউ উঠতে পারছেন অনেকেই ব্যর্থ হচ্ছেন। ফলে এখনও ভোগান্তি থেকেই গেছে।
এদিন বাসে বাসে টোকাটুকি লক্ষ্যণীয় নয় অন্য সময়ের মতো। দেখে মনে হচ্ছে বাস চালকরা কিছুটা শিক্ষা নিয়েছে। তবে রিকশাচালক ও পথচারীদের মধ্যে কোনও শৃঙ্খলাবোধ লক্ষ্য করা যায়নি। রিকশাচালকদের এদিনও উল্টা-পাল্টা চলতে দেখা গেছে। আবার পথচারীরাও আগের মতো ডিগবাজি দিয়ে চলাচল করছে। ফুটওভার ব্রিজ থাকলে তাতে উঠতে আগ্রহ দেখা যায়নি। এতে করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। অফিসে যাওয়ার জন্য বেরিয়েও গণপরিবহন কম থাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক-বীমায় কর্মরত হাজার হাজার মানুষকে। দুয়েকটি বাস চললেও অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সেগুলোতে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না।
অনেকেই রিকশা, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে করে ভেঙে ভেঙে অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এসব যানবাহন কম থাকায় বেশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। তার পরও অফিস ও গন্তব্যে পৌঁছাতে রাজি হচ্ছেন নগরবাসীরা। ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে কড়া উপস্থিতি। কঠোরভাবে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। কুড়িল বিশ্বরোডে আগে সেভাবে পুলিশের উপস্থিতি দেখা না গেলেও সোমবার ৭ সদস্যের ট্রাফিক পুলিশ টিম দেখা গেছে।